রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে চান্দাইকোনা বাজারে প্রকাশ্যে মেয়ের হাতে ছুরি ঘাতে মা খুন হয়েছে। অতপর জনতা কর্তৃক মেয়েকে আটক করে রায়গঞ্জ থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। নিহত মা বগুড়া জেলার শেরপুর থানার উত্তর সাহা পাড়া গ্রামের স্বর্ন ব্যবসায়ী রতিন্দ্র নাথ কর্মকারের স্ত্রী ঝুমা কর্মকার (৪৫)। আটককৃত কলেজ পড়–য়া স্মৃতি রানী কর্মকার (২২)কে রায়গঞ্জ থানা পুলিশ আটক রেখেছে। এঘটনায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শস্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। প্রত্যেক্ষর্দশী ও পুলিশ জানায়, সোমবার সাড়ে ১২ টার দিকে বগুড়া থেকে ঢাকা গ্রামী এস আর যাত্রী বাহী কোচে বগুড়া জেলার শেরপুর থানার উত্তর সাহা পাড়া গ্রামের রতিন্দ্র নাথ কর্মকারে স্ত্রী ও মেয়ে ঢাকা যাওয়ার উদেশ্য বাড়ি থেকে বের হয়। পৃর্ব পরিকল্পিত ভাবে পথের মধ্যে চান্দাইকোনা বগুড়া বাজারে আসলে মেয়ে স্মৃতি রানী কর্মকার (২২) বাস থেকে জানালা দিয়ে বই পড়ে গেছে মর্মে চলন্ত বাস থামাতে বলে। বই খুজতে বেশি সময় লেগে যাওয়ায় যাত্রীবাহী কোচের সুপার ভাইজার কে বাস নিয়ে চলে যেতে বলে। এরপর মা মেয়ে একটি সিএনজি যোগে উপজেলার চান্দাইকোনা বাজারে আসলে জবা দই ঘরের সামনে মা এবং মেয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। এতে মেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যাগে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে মা কে বুকে ও পেটে আঘাত করে। এসময় মা ঝুমা কর্মকার (৪৫) মাটিতে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। এসময় মাকে ছুরি ঘাত করে দ্রæত ওই স্থান থেকে পালানোর চেষ্টা কালে স্থানীয় জনতা মেয়েটিকে হাতে নাতে আটক করে। এরপর মায়ের লাশ অটো রিক্সা যোগে রায়গঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে কর্মরত ডাক্তার মা ঝুমা কর্মকারকে মৃত্যু ঘোষনা করে। এব্যাপারে রায়গঞ্জ থানার ওসি আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে জনতা কর্তৃক মেয়ে স্মৃতি রানী কর্মকার কে আটক করা হয়েছে। নিহত ঝুমা কর্মকারের লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। #
Leave a Reply