নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগী বলেছেন, এক ঢিলে দুই পাখি মারার ষড়যন্ত্রে মতেছে আওয়ামী লীগ। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হয়রানি মামলা করে বিএনপির এক দফা আন্দোলনকে ধামাচাপা দিতে চায় তারা।
তিনি আরও বলেন, এবার জনগণ জেগে উঠেছে, এবার আর ষড়যন্ত্র করে সরকার তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারবে না।
বুধবার রাজধানীতে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে দুটি হাসপাতালে রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
ড. ইউনূসের নামে যে মামলা দেয়া হয়েছে তাকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলছেন, সরকার পতনের এক দফা দাবি ধামাচাপা দিতেই অহেতুকভাবে ড. ইউনূসের মামলা নিয়ে মাতামাতি করছে সরকার। আওয়ামী লীগের মূল উদ্দেশ্য জনগণকে পাশ কাটিয়ে যেকোন ভাবে ক্ষমতা দখলে রাখা।
জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকার করোনার সময় ব্যর্থ হয়েছে, ডিঙ্গু মোকাবেলায়ও তারা ব্যর্থ উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় নিয়ে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদত্যাগ করা উচিত।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশে ডেঙ্গু সংক্রামক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। শিশুরা অকাতরে মারা যাচ্ছে। কিন্তু কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
তিনি বলেন, কলকাতায় এতো ঘনবসতি হওয়ার পরও তারা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করেছে। কিন্তু দেশের সরকার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। দুই সিটি মেয়র শুধু নিজেদের স্বার্থের বিষয় নিয়ে পড়ে আছেন।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকার শুরু থেকে গুরুত্ব দেয়নি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ মেয়ররা বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। কিট নিয়ে দুর্নীতির কথা প্রকাশ পেয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য দুর্নীতি। অর্থনীতি চরমভাবে ধ্বংসের দিকে চলে গেছে। তারা শুধু মেগা প্রজেক্ট দেখাচ্ছে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে পরিকল্পনাহীন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, উড়াল সড়কটি যানজটের সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, ড. ইউনূসের ঘটনা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। বিএনপির নির্দলীয় সরকারের দাবি থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতে ইউনূসের বিষয়টি পরিকল্পিতভাবে সামনে এনেছে। এতে সরকার সফলও হয়েছে। আজ কথা বলার কোনো সুযোগ নেই, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকেও শাস্তির মুখে পড়তে হয়।
রাষ্ট্র ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নতুন নির্বাচন দিতে হবে।
Leave a Reply