সাথী সুলতানা,স্টাফ রিপোর্টার :
বাগবাটি ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ডাক্তার আরিফুল ইসলাম মিঠুন এর অবহেলায় স্থানীয় রোগীদের মধ্যে ঔষধ বিতারন না করে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বস্তুা ভরে বাথরুম / পায়খানার ভিতর রাখা হয়েছে। গত রবিবার ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে জানা যায় ডাক্তার আরিফুল ইসলাম মিঠুন সঠিক সময়ে হাসপাতালে আসেননা আবার যদিওবা আসেন সরকারি নির্ধারিত অফিস টাইম শেষ হওয়ার আগেই দুপুর একটার (১) আগেই চলে যান। এবং পিপুল বাড়িয়া বাজার এলাকায় তার নিজস্ব চেম্বার ও ক্লিনিক ইনসাফে বসে নিয়মিত রোগী দেখেন এটা তার নিত্যদিনের কাজ। এছাড়াও টিকিট কাউন্টার প্রায় সময়ই বন্ধ থাকে। রোগীদের ঠিক মতো ঔষধ বিতারন করা হয় না আর ঔষধ বিতারন না করে মেয়াদ শেষ হওয়ায় উর্ধতন কতৃপক্ষকে না জানিয়ে ডঃ আরিফুল ইসলাম মিঠুন তা লোকজন দিয়ে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার একটি রুমের বাথরুমের ভিতরে রেখেদেন। এদিকে ওসমান গনি নামের এক রোগী বলেন আমি ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে আসছি কিন্তু এরা বলে ডায়াবেটিস পরীক্ষা এখানে হয়না তাই ফিরে যাচ্ছি। বারিক নামের এক রোগী বলেন আমি চুলকানির ঔষধ নিতে গতদুই দিন ধরে ঘুরছি এরা বলে ঔষধ শেষ হয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন নারী বলেন ডাক্তারতো নিয়মিত আসেইনা যদি কোনো সময় আসে রোগী আসলে পরীক্ষা না লাগলেও পরীক্ষা লিখে দিয়ে তার নিজস্ব চেম্বার ও ক্লিনিক ইনসাফ এ পাঠিয়ে দেন। এবং বেলা একটার আগেই চলে যান। অন্য দিকে ডাক্তার আরিফুল ইসলাম মিঠুন বলেন এসব মিথ্যা তবে হা দুপুরের পরে হাসপাতালে কোন রোগী না থাকায় আমি চলে আসি। এবং ওখানে কেউ না থাকলে আমি থেকে কি করবো। আর মেয়াদ শেষ হওয়া ঔষধ গুলো ওখানে রাখার কথা নয়। এদিকে সিভিল সার্জন সিরাজগঞ্জ ডঃ রামপদ রায় বলেন বিষয়টি আমার জানা ছিল না তবে এরকম ঘটনা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে অন্যদিকে এলাকার সচেতন নাগরিকগন হাসপাতাল সঠিক ভাবে পরিচালনার জন্য এবং সার্বক্ষনিক ডাক্তার থাকার অনুরোধ জানিয়ে এবং সঠিক ভাবে ঔষধ বিতারন করার জন্য প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি সুনজর কামনা করছেন। এবং দায়িত্ব পালনে অবহেলা কারী ডাঃ আরিফুল ইসলাম মিঠুন এর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
Leave a Reply